চট্টগ্রাম নগরের চশমা হিল এলাকায় শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর বাসায় হামলা হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় এ ঘটনা ঘটে। হামলায় বাসার সামনে থাকা দুটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয় এবং একটিতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। বাসার ভেতরের আসবাবপত্রও ভাঙচুর করা হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বাসায় ছিলেন না, তবে তাঁর পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে চট্টগ্রাম নগরের লালখান বাজারে চট্টগ্রাম–১০ আসনের সংসদ সদস্য মো. মহিউদ্দিন বাচ্চুর কার্যালয়েও হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। নগরের নিউমার্কেট, টাইগারপাস, এবং জিইসি মোড়ে পুলিশ বক্সেও ভাঙচুর করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ মিছিল নিউমার্কেট চত্বর থেকে শুরু হয়ে টাইগারপাস, লালখান বাজার, জিইসি মোড়, এবং ২ নম্বর গেট প্রদক্ষিণ করে।
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর ব্যক্তিগত সহকারী রাহুল দাশ জানান, মিছিল থেকে একটি পক্ষ মেয়র গলিতে ঢুকে পড়েন এবং প্রায় একশ লোক মন্ত্রীর বাসায় হামলা করেন। তিনি বলেন, "দুটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয় এবং এর একটিতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ঘরের আসবাবপত্রও ভাঙচুর করা হয়।"
তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহসন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, "আমাদের বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি টাইগারপাস মোড়ে শেষ হয়েছে। এরপর অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো ঘটনা ঘটলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দায় নেবে না।"
চট্টগ্রাম নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) কাজী মোহাম্মদ তারেক আজিজ জানান, "শিক্ষামন্ত্রীর বাসায় হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।"